বেনাপোলে দ্বিতীয় দিনেও বন্ধ আমদানি রফতানি বানিজ্য
শহিদুল ইসলাম,বেনাপোল প্রতিনিধি।।
ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের জীবন-জীবিকা বাঁচাও নামে একটি সংগঠনের পাঁচ দফা দাবি না মানায় দ্বিতীয় দিনের কর্মবিরতিতে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে।এর আগে পাঁচ দফা দাবিতে প্রথম দিন কর্মসুচী পালন করে তারা। তবে এপথে দুই দেশের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক রয়েছে।
জানা যায়, ৩১ জানুয়ারি সকাল থেকে সংগঠনটির দ্বিতীয়বারের মতো অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির ডাক দিয়ে দুই দেশের মধ্যে সব ধরনের পণ্য আমদানি- রফতানি বন্ধ করে দেয়। তাদের দাবি না মানায় দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবার আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রয়েছে। বাণিজ্য বন্ধ থাকায় দুই পারে বন্দর প্রবেশের অপেক্ষায় শতশত ট্রাক আটকা পড়েছে।
বেনাপোল বন্দরের ব্যবসায়ীরা জানান, ভারতের জীবন-জীবিকা বাঁচাও সংগঠন যৌক্তিক দাবি নিয়ে তারা কর্মবিরতি পালন করেছে। তবে এই দুই দিন আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ থাকায় ব্যবসায়ীদের লোকসানের মুখে পড়তে হবে। তাই আমারা চাই দ্রুত সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে পণ্য পরিবহন শুরু হোক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের ব্যাংক বিষয়ক সম্পাদক হায়দার আলী জানান, ভারতীয় সংগঠনটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। বিএসএফসহ পেট্রাপোল বন্দরে কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসবে বলে জানিয়েছেন তারা। বেনাপোল বন্দরের উপ-পরিচালক (ট্রাফিক) মামুন কবীর তরফদার জানান, ভারতীয় ব্যবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দ্বিতীয় দিনের মতো বাণিজ্যিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আমরা ভারতীয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। এর একটি সমাধান হবে।
সংগঠনটির পাঁচ দফা দাবি হলো:
১. অবিলম্বে পূর্বের মতো হ্যান্ডকুলি ও পরিবহন কুলিদের কাজের পরিবেশ ফিরিয়ে দিতে হবে।
২.সাধারণ ব্যবসায়ী এবং মুদ্রা বিনিময়কারী পরিবহন, ক্লিয়ারিং ও ফরোয়াডিং এজেন্ট ও ট্রাক চালক সহকারীর ওপর বিএসএফ ও অন্য এজেন্সির কর্তৃক নিরাপত্তার নামে অত্যাচার বন্ধ করতে হবে।
৩. বাংলাদেশে পণ্য নিয়ে যাওয়া পরিবহনের ট্রাকগুলো ২৪ ঘণ্টার মধ্যে খালি করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৪. আধুনিকতার অজুহাতে বন্দরের শ্রমিকদের কর্মহীন করা চলবে না।
৫. বাণিজ্যিক স্বার্থে পূর্বের ন্যায় পণ্যবাহী চালক ও সহকারীদের পায়ে হেঁটে পেট্রাপোল ও বেনাপোল বন্দরের মধ্যে যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে।